নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান বুলেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মোশাররফ হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে তাকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ১৮ জানুয়ারি নীলফামারীর আরজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে গোলাম রব্বানীর মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী বাদী হয়ে সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অক্ষয় কুমার রায় যুবলীগের ওই নেতা-কর্মীর আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আত্মসমর্পণের পর তার জামিন প্রার্থনা করা হলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কেকে/ এমএস