বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব বলেছেন,তামাক চাষ করে কৃষকরা যাতে নায্য মুল্যে বিক্রি করতে পারে তার জন্য আন্দোলন করতে হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তামাক চাষীদের নানা রকম হয়রানি, মুল্য বৈষম্য, সিন্ডিকেট এবং শক্তিশালী সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
তামাক চাষী ও সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোনায়েম সিদ্দিক মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আদিতমারী-কালীগঞ্জ আসনের এমপি প্রার্থী রোকন উদ্দিন বাবুল। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম,সদস্য সচিব সালেকুজ্জামান প্রামানিক, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাবিবুর রহমান হবি,যুগ্ন আহবায়ক নাদিরুল ইসলাম মানিক,সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান,সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইদ্রিস আলী ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল হালিম প্রমূখ।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। মমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রামানিক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নুরে আলম সিদ্দকী বাবু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ভিপি আনিচুর রহমান আনিচ ও সাবেক সাধারন সম্পাদক হাসমত আলী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তাদের দলীয় নেতা কর্মিরা কোম্পানীর সাথে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে কোম্পানীর কাছে তারা বিক্রি করে কোটি,কোটি টাকা উপার্জন করেছে। অন্যদিকে কৃষকরা নায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আজ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখ ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। তামাক চাষীদের সাথে হওয়া নানা অন্যায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন বিগত ১৭ বছর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীরা। ন্যায় কথা বললেই গুম, খুন, হামলা, মামলার স্বীকার হতে হয়েছে।
তামাক চাষ প্রসঙ্গে দুলু বলেন, সারাদেশের মধ্যে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় শিল্প-কারখানা তেমন থাকায় কর্মসংস্থান নেই। তাই এ অঞ্চলের কৃষক বাধ্য হয়ে, স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে তামাক চাষ করে। কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা স্থানীয় দালালদের সাথে আতাত করে কৃষককে ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত করে। তামাক উত্তলনের শুরুতে( মার্চ) এর দিকে কম মুল্য এবং শেষে(জুন) দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।এতে ব্যবসায়ী ও দালালরা লাভবান হলেও কৃষকরা বঞ্চিত হয় ন্যায্য মুল্য থেকে। তবে আর হয়রানি, ন্যায্য মুল্য ও নানামুখী ষড়যন্ত্র থেকে কৃষককে বঞ্চিত না করতে আহবান জানান তিনি। এছাড়া তামাক চাষীদের সকল ন্যায্য অধিকার আদায়ে চাষীদের একটি শক্তিশালী শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার আহবান জানান এবং কৃষকদের নায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনের সাথে একতাবদ্ধ সংহতি প্রকাশ করেন আসাদুল হাবিব দুলু।
এর আগে ৮টি ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার তামাক চাষী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এ সমাবেশে তামাক চাষীরা তাদের নানা দাবি উপস্থাপন করেন এবং তামাকের ন্যায্য মুল্যের দাবিতে নানাযুক্তি উপস্থাপন করেন।
কেকে/ এমএস