দেশব্যাপী ৪৫০টি তরুণ উদ্যোক্তা দলের অংশগ্রহণে ‘ফিউচার অফ ক্যাপিটালিজম’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)। চুড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হয়েছে তিনটি দল। বিজয়ী দলগুলোর ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্রের লিও লায়ন ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে জমকালো আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন লিও লায়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ল্যারি সুলিভান এবং প্রভা হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সিলভানা কিউ. সিনহা।
এ প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে পিচ ডেক জমা, দ্বিতীয় ধাপে বাস্তবায়নযোগ্যতা যাছাই এবং সেমিফাইনালে গো-টু- মার্কেট কৌশল উপস্থাপন শেষে সেরা আটটি দল ফাইনালে জায়গা করে নেয়। প্রতিটি ধাপে তারা অভিজ্ঞ মেন্টরদের দিকনির্দেশনা পেয়েছে।
শুক্রবার চুড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী দলগুলো বিচারকদের সামনে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, আর্থিক সম্ভাব্যতা ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল তুলে ধরে। বিচারক প্যানেলে ছিলেন সিলভানা কিউ সিনহা,আমিনুর রশিদ,ইমরান রহমান, কেরী ব্রীন,মো. আব্দুল মতিন ইমন,তানভীর আলী,ইয়ান লিয়ামাস।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন এয়ারওয়ার্ক এআই। যার সদস্যরা হলেন সায়েম ফারুক, সাইয়ারা মাহমুদ এবং ইশমাম তাসদিক জিহাদ। এ ছাড়া প্রথম রানার-আপ হন আইপেজ এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হন ড. চাষী। বিজয়ীদের যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হবে এবং পরবর্তী ধাপে তারা মেন্টরশিপ, অর্থায়ন ও ইনকিউবেশন প্রক্রিয়ার সুযোগ পাবে।
চুড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়ব বলেন, ‘আমাদের দেশ সম্প্রতি ইনভেস্টমেন্ট সামিট করেছে। সামিটে প্রধান উপদেষ্টা ও বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী আমাদের দেশে বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখছে। আমাদের টেকসই উন্নয়নে এ রকম কাজ সহায়তা করবে। আজকের এই স্টার্টআপ কম্পিটিশন ক্যাপিটালিজম এর চিরায়ত প্রথা অর্থ্যাৎ মুনাফার লক্ষ্য বাদ দিয়ে ন্যায় ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ধারনা সামনে নিয়ে আসতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস আমাদের এই যাত্রায় একজন চ্যাম্পিয়ন। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বলতে চাই, উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আমি বিশ্বাস করি এ প্রতিযোগিতা একদল তরুণদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সহযোগিতা করবে। যা তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময়।’
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে আইবিএ ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক শাকিল হুদা বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য,তাদের চিন্তাভাবনাকে প্রসারিত করার জন্য আমরা এ আয়োজন করেছি। এ প্রতিযোগিতায় তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের আইডিয়া প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছে। একে অন্যকে জানার সুযোগ পেয়েছে। ৪৫০ এর অধিক প্রতিযোগি থেকে প্রথম ধাপে ৬৪টি,পরের ধাপে সেখান থেকে ২৫টি, তারপরের ধাপে ৮টি এবং চুড়ান্ত ধাপে ৩টি দল বিজয়ী হয়েছে। এ বিজয়ীদের ব্যবসায় লিও লায়ন ফাউন্ডেশন বিনিয়োগ করবে।’
কেকে/ এমএস