ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। রয়েছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।
শনিবার (১২ ই এপ্রিল) মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিকে ঘিরে এই নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রয়েছে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর মধ্যে ঢাকার শাহবাগ, রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বঙ্গভবন, গুলিস্তান সচিবালয়ে, বাংলা মটর, সোনারগাঁও হোটেলে, ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল, ভিআইপি রোড, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রয়েছে সেনাবাহিনীর বেষ্টনী। এর পাশাপাশি রয়েছে র্যাবের বিভিন্ন টহল ও সাদা পোশাকে পুলিশ।
এসব এলাকায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাবের টহল ও পুলিশের উপস্থিত রয়েছে বেশ। আরো রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানতে চাইলে খোলা কাগজকে জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ঢাকার প্রতিটি পয়েন্ট নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ। শনিবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা রয়েছে। বিকাল ৩ টায় মূল প্রতিবাদ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু তার আগেই ইসলামিক সংগঠনগুলো সকাল থেকে সভাস্থলে আসা শুরু করেছে।
এদিকে মানিক মিয়া এভিনিউতেও প্রতিবাদ সভা হবে বলে জানা যায়।
সমাবেশে বক্তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাবেন, একই সঙ্গে দেশব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিআমিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে। পালন করা হবে ‘মার্চ ফর গাজা’।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার এক অংশ দখলের চেষ্টা করে ইসরায়েল বাহিনী। এরই প্রতিবাদে, ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় যুদ্ধের ঘোষণা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যা এখন পর্যন্ত চলমান। গাজায় চলমান এ গণহত্যায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে শিশু এবং নারীরা। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পালন করা হচ্ছে মার্চ ফর গাজা।
কেকে/ এমএস