ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী হতে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের ভেলানগর গ্রামের নতুন প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা। শুধু একটি সড়কের জন্য ভোগান্তিতে দুই ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ। দৈনিক গড়ে ২শ থেকে ৫শ ছোট-বড় গাড়িতে কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে এই রোডে। সড়কে প্রায় সর্বত্র খানাখন্দে ভরা। বাড়ছে দুর্ঘটনা।
বাঞ্ছারামপুর এবং নবীনগর উপজেলার সাথে আড়াইহাজার বিশ্বনন্দি ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করার সহজ মাধ্যম রূপসদী- ভেলানগরের এই রোড।
নবীনগর, শ্যামগ্রাম, রসুল্লাবাদ, জীবনগঞ্জ, দরিকান্দি, ভোরের বাজার, এই সব এলাকার মানুষ খুব দ্রুত সময়ের মাধ্যমে রূপসদী হতে ভেলানগরের এই “ভায়া রোড” ব্যবহার করে ঢাকায় খুব দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে পারে। অথচ এই রোডে বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থা । বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন ধরেছে এই রোডে। এই রোড ব্যবহার করে চালকরা খুব অল্প সময়ে যাত্রীদের সুন্দরভাবে সেবা দিতে পারে।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের সময় এই রোডের ঠিকাদার বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে এই রোডের নিম্নমানের কাজ করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।
রোড করার পরে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নতুন রোডের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়, যার ফলে এখন আর গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রিপন ডাক্তার বলেন, দৈনিক অনেক বালু বহনকারি পাওয়ার ট্রলি যাতায়াতের কারণে এই নতুন রোডের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অতি দ্রুত এই রোডের ব্যবস্থা না নিলে মানুষের যাতায়াতের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
এই এলাকার অনেক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোড করার অল্প কিছু দিনের পর থেকেই রোডে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হচ্ছে, পিচ ঢালাই সঠিক করে দেওয়া হয়নি। যার কারণে এই রোডের এ বেহাল অবস্থা। অল্প কিছু জায়গা পর পর রোডের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যার কারণে এলাকাবাসী এবং যাত্রীদের এই রোডে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। এলজিইডি’র আওতাধীন সড়ক যথাসম্ভব দ্রুত মেরামত করা হবে।
কেকে/এজে