সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মেঘনা আলমের গ্রেফতার ও অন্তরীণে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের দন্ডাদেশে ফ্যাসিবাদী জমানার কথাই মনে করিয়ে দেয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনার দণ্ডাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে মেঘনাকে মুক্তি দিন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করুন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে মিস আর্থ মেঘনা আলমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তার বাসার দরজা ভেঙে গ্রেফতার এবং ১৯৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, যেভাবে মেঘনাকে বাসা থেকে জবরদস্তিমূলকভাবে তুলে নিয়ে নিবর্তনমূলক কালো আইনে সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। এটা কেবল বিগত দিনের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এই ঘটনা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন। ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই ধরনের নিপীড়নমূলক কোনভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।
সাইফুল হক বলেন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী সকল কালাকানুন বাতিল করা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এইসব কালাকানুন বাতিলের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য গড়ে উঠেছে। এখন দুই দশক পর একজন নারীর বিরুদ্ধে এই আইনের অপপ্রয়োগ কেন কীভাবে করা হলো তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দরকার।
তিনি উল্লেখ করেন, মেঘনা কোন অন্যায় করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের ন্যূনতম কোন সুযোগ না দিয়ে যেভাবে সাজা দেয়া হয়েছে তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যই লজ্জার কারণ হয়ে উঠেছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একজন বিদেশী নাগরিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তড়িৎগতিতে বিতর্কমূলক যে পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের নাগরিক মেঘনা আলমের অধিকার রক্ষায় সরকার তেমন কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।
বিবৃতিতে তিনি অনতিবিলম্বে নিবর্তনমূলক বিশেষ ক্ষমতা আইনে অন্তরীণ মেঘনা আলমের মুক্তি দাবি করেন। তিনি অনতিবিলম্বে '৭৪ বিশেষ ক্ষমতা আইনও বাতিলের দাবি করেন।
একইসাথে তিনি মেঘনা আলমের গ্রেফতার ও হয়রানির সাথে যুক্ত অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদেরকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
কেকে/এজে