কক্সবাজারের চকরিয়ায় দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় রেল ব্রীজ থেকে মাতামুহুরী নদীতে পড়ে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার ১৮ ঘন্টার পরে লাশ উদ্ধার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নস্থ পহরচাঁদা মাতামুহুরী নদীর রেল ব্রীজ পয়েন্ট এলাকা থেকে উদ্ধারকারী টিম নদী থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এরই আগে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনে পহরচাঁদা গোবিন্দপুর বিএমচর সংযোগ সেতুতে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নদী থেকে উদ্ধার হওয়া নিখোঁজ ব্যক্তির নাম আবদুল জব্বার (৫০)। সে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জারুলবুনিয়া এলাকার আসহাব মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার অভিমুখে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চকরিয়ার পহরচাঁদা ব্রীজ পার হচ্ছিল। একই ব্রীজ দিয়ে গরু নিয়ে পার হচ্ছিল ব্যবসায়ী আবদুল জব্বারসহ আরো দুই পথচারী।
এ সময় দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুল জব্বার মাতামুহুরী নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে খুঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ সময় নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েও খোঁজ না পেয়ে রাতে চলে যায়।
শনিবার সকালে গরু ব্যবসায়ী আবদুল জব্বারের লাশ নদীত ভাসতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এসময় চকরিয়ার থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনের সহায়তায় নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করেন।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে পেকুয়া শিলখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহমদ শফি বলেন, আবদুল জব্বার একজন গরু ব্যবসায়ী। সে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটে গিয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় করেন। তিনি বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছিল।
ওই সময় পহরচাঁদা ব্রীজে দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায় গরু ব্যবসায়ী জব্বার। নদীতে আবদুল জব্বার পড়ে গেলেও তার সাথে থাকা অন্য দুই পথচারী অক্ষত আছে।
মাতামুহুরী নদী থেকে লাশ উদ্ধারের বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার দ্রুতগামী কক্সবাজার অভিমুখী ট্রেনের থাক্কায় একজন ব্যবসায়ী মাতামুহুরী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়।
শনিবার সকালে তার লাশ পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে তৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরুতাহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এএম