বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশ এখন মুক্ত। কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবেই।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঐতিহাসিক বিটি মাঠ (সাবেক প্রফেসর হামিদুর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম) পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে বিটি মাঠে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ ছিল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এই সংস্কৃতি দমন করা হয়েছে। তবে খুনি হাসিনার পতনের পর আমরা আজ মুক্ত, এবং জনগণ স্বাধীনভাবে উৎসব পালন করতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, ১৮৪২ সাল থেকে বিটি মাঠ ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত। এটি মূলত তেগুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাঠটির নাম পরিবর্তন করে হামিদুর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেন। তার দাবি, এটি অবৈধ এবং অনৈতিকভাবে ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রশ্ন তোলেন, স্কুল কমিটি ও জমির প্রকৃত মালিকদের না জানিয়ে কীভাবে মাঠটি ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় আনা হলো?
তিনি জানান, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই মাঠেই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা ওমর শাহনেওয়াজ, যুবদল নেতা মাহবুব আলম স্বাধীনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া মাঠ পরিদর্শনে অংশ নেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল মাওয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম ।
এর আগে মাঠে মেলা হওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা দেখা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে মাঠটিতে মেলার অনুমতি বাতিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
কেকে/এএম