সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে মসলাজাত পণ্য আদা। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এ মসলাজাত পণ্যটি দ্বিগুণেরও বেশি আমদানি বেড়েছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীও আমদানিকারকরা বলছেন, দেশীয় বাজারে চাহিদার পাশাপাশি ভারতে দাম কম হওয়ার কারণে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে। অন্যদিকে বন্দরে আমদানি বাড়ার পরও সাতক্ষীরার মসলা বাজারে আদার দর কমেনি বরং বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আদা।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে মসলাজাত পণ্য আদা আমদানি হয়েছে ৭৫ হাজার ৬৮৬ টন। যার আমদানি মূল্য ৯০০ কোটি ১২ লাখ টাকা। একইভাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এ সময় পণ্যটি আমদানি হয়েছিল ৩৩ হাজার ৬৮৫ টন। যার আমদানি মূল্য ৩৬৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পণ্যটি আমদানি বেড়েছে ৪২ হাজার ১ টন।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. আবুল কালাম জানান, যেকোনো পণ্য আমদানি বেশি-কম হয়ে থাকে মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদা বা ঘোষণার ওপর নির্ভর করে। এ ব্যাপারে বন্দর ব্যবহারকারী সব ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের পক্ষ থেকে।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড়বাজারের মসলাজাত পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরদার স্টোরে খুচরা আদা বিক্রয় হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা কেজি দরে। যা দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। দাম বাড়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল হাকিম জানান, বন্দরে আমদানি বাড়লেও পাইকারিতে দাম কমেনি আদা বরং বেড়েছে।
তিনি বলেন, রমজানের মাসের মাঝামাঝি সময় যে আদা পাইকারি দর ছিল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা তা এখন ৯০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ফলে পাইকারিতে দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে।
সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, ঈদের পর বন্দরে নতুন এলসির আদা এখনো ঢোকেনি। বাজারে যে আদা রয়েছে তা রমজান মাসে আমদানিকৃত। ফলে দু-একদিনের মধ্যে বাজারে আদার দাম কমে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তাছাড়া কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যদি কোনো ব্যবসায়ী বা আড়তদার আদার দর বেশি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কেকে/এএস