বিড়ি আর মুড়ি খেলে রোজা ভাঙ্গে না এমন ফতোয়া দিয়েছিল এই ভন্ড পীর। সেই ফতোয়া বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল। এই ভন্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পর্ণগ্রাফি মামলা থাকায় র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে গ্রেফতার হয়েছে এই ভন্ড পীর রাজ্জাক ওরফে হেডাম বাবা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-২।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার আলোচিত ভন্ডপীর কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণ, অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফি মামলার পলাতক আসামি ভন্ডপীর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ওরফে রাজ্জাক পাগলা (৫২)’কে রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা।
ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার আলোচিত ভন্ডপীর কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণ, অর্থ আত্মসাৎ ও পর্নোগ্রাফি মামলার পলাতক আসামি ভন্ডপীর মোঃ আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা ওরফে রাজ্জাক পাগলা ওরফে হেডাম বাবা (৫২)’কে ১২ এপ্রিল রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ভন্ডপীর মোঃ আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা ওরফে রাজ্জাক পাগলা, বিভিন্ন মাজারে গিয়ে ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে মানুষের সাথে ভন্ডামি, প্রতারণা, মাদক সেবন এবং সহজ সরল নারীদের প্রতারিত করে তাদের সম্ভ্রমহানীসহ সর্বস্ব লুটে নেয়।
উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলার বাদীর স্ত্রীর সাথে আসামির পরিচয় হয় এবং ভিকটিমকে নানাভাবে ফুসলিয়ে ধর্মের কথা বলে তার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন করায়।
গতবছর ২৪ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ ভুক্তভোগীকে পরকালের কথা বলে তার নিকট হতে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আসামি ভন্ডপীর মোঃ আব্দুল রাজ্জাক মোল্লার সাথে দেখা করতে বলে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মাজার এলাকায় দেখা করতে গেলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং তার সাথে থাকা নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে আসামি এই ভন্ড তার স্বামীকে ফোন করে আরো ০৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অন্যথায় ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানায় গত বছরের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিক পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করে মামলা নং ২৯।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-২ উক্ত আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব ২ এর সিনিয়র এএসপি খান আসিফ তপু। তিনি জানান অপরাধী হলেই তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ভন্ড পীর হউক আর যেই হোকনা কেনো। অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
কেকে/এআর