কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমরান হোসেনসহ একই এলাকার বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমরান হোসেন উপজেলার মনপাল গ্রামের মো. হাশমত আলীর ছেলে। এছাড়াও সাদ্দাম হোসেন নামের ওই পুলিশ সদস্যের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন পারভেজ হোসেন, কাইয়ুম উদ্দিন সুমন, রনি, আনাস, জিসান, মশিউর, মাসুমসহ এলাকার আরও কয়েকজন। তারা এ হয়রানি থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে লাকসামের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী এমরান হোসেনের পিতা মো. হাশমত আলী। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সাদ্দাম ফেনী জেলা পুলিশে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ৩ এপ্রিল লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীর দলীয় পোস্টার পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম ও তার ভাই ছিঁড়ে ফেলে। এটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কনস্টেবল সাদ্দামের লোকজন বাদী হয়ে উল্টো থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং নানাভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
কিন্তু এ ঘটনার পর পারিবারিক ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কিছু মিডিয়া দলীয় রূপ দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে “সেচ্ছাসেবক দল নেতা কুপিয়ে জখম করলেন পুলিশ কনস্টেবলকে” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ করে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
সংবাদ সম্মেলনে ওই পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তি, গত ২০১৩ সালে তার ভাইসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এমরানের বাড়িঘর, দোকানপাট জালিয়ে দেয়া, লুটপাট ও পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানবিক নির্যাতনসহ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ছাত্র-জনতা ওপর তান্ডব চালায় বলে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত স্থানীয় মাস্টার মো. আব্দুল মোতালেব, মো. সাফায়েত উল্লাহ মজুমদার, মো. ওবায়েদুল হক মজমুদার, মো. মিজানুর রহমান মেম্বার প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। মূলত আমাদের দায়ের করা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই তারা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
কেকে/এজে