ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো, এই কবিতার কবি রফিক আজাদের ধানমন্ডি ১নং রোডের বাড়িটি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ধানমন্ডি ১নম্বর রোডের ১৩৯/৪ নম্বর কবির বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়।
কবির স্ত্রী দিলারা হাফিজ জানান বাড়িটি যদি সরকারের প্রয়োজন হয় তারা নেবে কিন্তু আমাদের তো একটা সময় দেবে তা না দিয়ে ১৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বাড়িটার এক অংশ ভেঙে ফেলেছে। এতে আমরা শঙ্কিত অবস্থায় রয়েছি, আমরা এখন অনিরাপদ।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় কবির স্ত্রী খোলা ছাদের নিচে বসে রয়েছে, খুব চিন্তিত ও কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি জানান এই বাড়িটি নাকি সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ভবন নির্মাণ করবে সরকার। কিন্তু একজন কবির স্মৃতি মুছে ফেলা কতটুকু যুক্তিসম্মত এমন প্রশ্ন করেন কবির স্ত্রী। তিনি জানান পাশের ভবনটি উচ্ছেদ করার পাশাপাশি আমাদের স্থানটুকু ছেড়ে দিতে বলে গেছেন উচ্ছেদে আসা ম্যাজিস্ট্রেট।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভিক্ষের চিত্র তুলে ধরেছিলেন এই কবি। তার স্মৃতি বিজড়িত জায়গাটি আজ দুর্ভিক্ষে শেষ। তিনি ১৯৭৪ সালে লিখেছিলেন ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব। আজ সেই কবির স্মৃতি বিচরণ স্থানটিই যেন ক্ষতবিক্ষত। কবির স্ত্রী অনুরোধ জানিয়েছেন কবির বাড়িটি যেন পুনরুদ্ধার করা হয়। তিনি জানান গণপূর্তের কাজ থেকে এই বাড়িটি বরাদ্দ পেয়ে বসবাস করে এসেছিল কিন্তু আজ গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।
কবি রফিক আজাদ শুধু একজন কবিই নয় তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও তিনি ১৯৭১ সালে টাঙ্গাইলে ১১ নম্বর সেক্টরে তিনি যুদ্ধ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কবির বাড়ির পাশের বাড়িটিতেও কয়েকজন নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বসবাস করত।
কেকে/ এএস