লালমনিরহাটে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার ও বিভিন্ন সময়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে হাতীবান্ধার সচেতন নাগরিক সমাজ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মতিউর রহমান মতি, ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান নেত্বেতে হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশন থেকে মিছিলটি বের করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা সীমান্ত হত্যা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে জোরালো স্লোগান দেন এবং প্রতিবাদী ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এ ছাড়াও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সমাজকর্মী সাহেদুজ্জামান কোয়েল।
মানববন্ধনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সমাজকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, ‘বারবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিরীহ বাংলাদেশিদের প্রাণ যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সকল প্রকার সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
তারা আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সমাবেশে থেকে অবিলম্বে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, নিহতদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সীমান্ত হত্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগেরই বহিঃপ্রকাশ। তারা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
কেকে/ এমএস