চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চাঁদাবাজির এক নতুন ধরন সামনে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘সীতাকুণ্ড পৌর টোল’ নামে রশিদ প্রদান করে প্রকাশ্যেই চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, পৌর টোলের নামে আদায়কৃত অর্থের কোনো নির্দিষ্ট হিসাব বা পৌরসভার স্বীকৃতি নেই। বিষয়টি ইজারার আড়ালে একটি চাঁদাবাজ চক্র পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইজারাদার মোহাম্মদ নুরুন্নবী জানান টাকার বিনিময়ে ইজারা পেয়েছি এখন টোকেন দিয়ে সেই টাকা উত্তোলন করছি। এ টাকা তুলতে আমার ৭ জন স্টাফ রয়েছে। বিভিন্ন শিফটে তারা টাকা তুলে থাকে। সাধারন মানুষ টোলের টাকার বিনিময়ে কী সেবা পেল তা আমার দেখার বিষয় না।
এই টোল আদায় নতুন কিছু নয়। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, টোল আদায় করার মাধ্যমে যে টাকা ওঠে তা দিয়ে পৌরসভার অন্যান্য সংস্কার কাজ করা হয়। তবে সরকার যদি টোল আদায় বন্ধ করতে বলে আমি বন্ধ করে দেব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর টোল আদায়ের হিসাব স্বচ্ছ রাখা হচ্ছে।
কেকে/এএস