রাজউকের জোন-১ ও জোন-৫ এ দুটি পৃথক মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে রাজউক। এ সময় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন সরকারেরর নেতৃত্বে রাজউকের জোন ৫/৩ এর আওতাধীন নাজিমউদ্দীন রোড, চকবাজার ও মাজেদ সরদার রোড, বংশাল এলাকায় ৬টি ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
ভবন নির্মানে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ৫টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশা থেকে ব্যত্যয়কৃত অংশ অপসারণ করা হয়। ভবন ৫টির মালিকদের সর্বমোট ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ভবন মালিকদের থেকে ভবন নির্মাণে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা আদায় করা হয়।
এসময় অথরাইজড অফিসার মো. মেহেদী হাসান খান, সহকারী অথরাইজড অফিসার ইসমাঈল হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম ও সুজন আহমেদ, এ জোনের ইমারত পরিদর্শকরাসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছবি : খোলা কাগজ
অন্যদিকে, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক (বোর্ড, জনসংযোগ ও প্রটোকল) শীলাব্রত কর্মকারের নেতৃত্বে রাজউকের জোন ১/৩ এর আওতাধীন সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুরে আরেকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় সর্বমোট ২টি ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উভয় ভবনের মালিককেই বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ইমারত নির্মাণের জন্য রাজউক অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও অনুমোদিত নকশা ব্যতীত সকল প্রকার নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়।
এ মোবাইল কোর্ট অভিযানে জোন ১/৩ এর অথরাইজড অফিসার পলাশ সিকদার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।