ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়শই আলোচনায় থাকা হিরো আলম বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকার অভিযোগ তুলে স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ তালাক ঘোষণা সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বগুড়ার নিজ বাড়িতে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
হিরো আলম তার একাধিক বিয়ে এবং রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ২০১৭ সালে আমার প্রথম স্ত্রী মামলা করেছিলেন, সংসার ভেঙে যায়। দ্বিতীয় বিয়েও টেকেনি। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে পরিচয় হয়, যে কিনা আমার সিনেমার নায়িকা ছিল। কিন্তু বিয়ের পর সে আমার অমতে অন্যদের সঙ্গে ভিডিও করত। একাধিকবার নিষেধ করলেও শোনেনি।
সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম জানান, তার পালক বাবা আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং গত এক মাস তিনি রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে বাবার পাশে ছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে স্ত্রী রিয়া মনি কিংবা তার পরিবারের কেউ বাবাকে দেখতে আসেননি। এমনকি মৃত্যুর পরও বাবার লাশ দেখতে আসেননি।
হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, আমি হাসপাতালে বাবার জন্য দিনরাত কাটাচ্ছি, আর সে অন্যদের সঙ্গে কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিচ্ছে। এসব মানা যায় না। তাই আমি ওর সঙ্গে আর সংসার করতে পারব না। তাকে তালাক দেব।
প্রসঙ্গত, হিরো আলম রাজনীতির মাঠেও সক্রিয় ছিলেন। ২০২৩ সালের বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন। পরে তিনি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নেন, যেখানে ভোটগ্রহণের দিন তার ওপর হামলার অভিযোগ উঠে।
কেকে/ এমএস