যাত্রী সংকটের ঢাকা হতে বাঞ্ছারামপুর হয়ে কুমিল্লার রামচন্দ্রপুর নৌপথে কমেছে লঞ্চের সংখ্যা।
উন্নত সড়ক পথের কারণে সড়কপথে ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-হোমনা- দৌলতপুর হয়ে রামচন্দ্রপুর ও রামকৃষ্ণপুর চলাচল সহজ হয়েছে। নৌপথে কমেছে যাত্রীর সংখ্যা। এদিকে লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তেলের দাম কমলে ভাড়া কমানো যাবে অনেকটাই, তখন নৌপথে বাড়বে চলাচল।
এক সময় নৌযান শ্রমিক, কুলি আর হকারদের হাকডাকে সরগরম বাঞ্ছারামপুরের উজানচর ও হোমনার দৌলতপুর লঞ্চঘাট এখন অনেকটাই নীরব, কারণ আগের মতো আর লঞ্চ চলে না।
এদিকে, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো দৌলতপুর লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনটি গত ফেব্রুয়ারিতে সরিয়ে নিয়ে গেছে বিআইডব্লিউটিএ। জানা গেছে, ইজারাদারের বাৎসরিক ইজারার ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাওয়ায় পন্টুনটি প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ।
আগে রাজধানী ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও চলাচল করতো স্বল্প দূরত্বের মেঘনা ঘাট, শ্রীমদ্দি, বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরের ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে টার্গেট করে চলাচল করতো অভ্যন্তরীণ লঞ্চ। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় এখন বেশিরভাগ লঞ্চই বন্ধ। এতে উপার্জন হারিয়েছেন লঞ্চঘাটের ফেরিওয়ালা, হকার, ক্ষুদ্র দোকানদার।
আগে নারায়ণগঞ্জ -ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-হোমনা রুটে প্রতিদিন চলতো ১০ থেকে ১২টি বিলাসবহুল বড় লঞ্চ। এখন লঞ্চ চলে দুটি। এক সময় নৌপথে ঢাকা যেতে সময় লাগতো ৮-১০ ঘণ্টা। এখন সড়কপথে ৩-৪ ঘণ্টায় যাওয়া যায় রাজধানীতে। অবশ্য এখনো আয়েশী ভ্রমণের জন্য লঞ্চই পছন্দ করেন কেউ কেউ।
উন্নত সড়ক যোগাযোগের কারণে লঞ্চের যাত্রী কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন নৌযানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে জ্বালানী তেলের দাম কমলে লঞ্চটিকে থাকতে পারবে বলে জানান তারা।
এদিকে হোমনার দৌলতপুর টার্মিনালের পন্টুনটি সরিয়ে নেয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান সজীব বলেন, ৫০ বছরের পুরনো এই লঞ্চ টার্মিনালের ঘাটটি এলাকার ঐতিহ্য ছিলো।বিআইডব্লিউটিএ পন্টুন সরিয়ে নেয়ায় আমরা দূর্ভোগে ড়েছি। কর্তৃপক্ষ ভিন্ন কোন ব্যবস্থা নিতে পারতো।আমরা অবিলম্বে, লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনটি ফেরত চাই।"
কেকে/এআর