বগুড়ার শেরপুরে সদ্য বিদায়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. রেহেনার খাতুনের বিরুদ্ধে গ্যারেজের সেড নির্মাণের ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি শেরপুর উপজেলা থেকে ধুনট উপজেলায় বদলির আগে এই টাকা আত্মসাত করেন। অডিট অফিসারদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এই বরাদ্দ আসার আগেই শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উন্নয়নের জন্য তৎকালীন কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান ব্যক্তি উদ্যোগে গ্যারেজটি নির্মাণ করেন। ডা. মো. রায়হান এই উপজেলা থেকে বদলি হওয়ার পর ডা. মোছা. রেহেনা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব পান।
পরে তিনি নিয়মিত হন। এরই এক পর্যায়ে গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বারদ্দ আসে। বরাদ্দকৃত সেই টাকা অফিস সহকারী মতিউর রহমানের নামে চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংক শেরপুর শাখা থেকে উত্তোলন করিয়ে সেই টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নির্মানকৃত গ্যারেজ দেখিয়ে অডিট অফিসারদের বোকা বানিয়েছেন তিনি। সচেতন মহল মনে করছেন, অডিট অফিসারগণ যদি বিষয়টি খতিয়ে দেখতেন তাহলে তখনি ঘটনাটি সকলের সামনে আসত।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অফিস সহকারী মো. মতিউর রহমান বলেন, কর্মকর্তারাতো আমাকে চেকই দেয়। কোনটা কীসের চেক সেটা আমি বলতে পারব না। আপনার যা জানার রেহেনা ম্যাডামের কাছ থেকে জেনে নিন। তা ছাড়া কয়েকমাস আগের কথা আমার ভালো করে মনেও নেই।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলার তৎকালীন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বলেন, আমি শেরপুরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় প্রাণিসম্পদকে ভালোবাসে এমন কিছু মানুষের সহযোগিতায় একটি গ্যারেজ, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, সুপ্রশস্থ রাস্তা তৈরি, সেবাগ্রহীতার বসার জায়গা ও সৌন্দর্যপূর্ন কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। আমি শেরপুর থেকে বদলি হওয়ার পর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। সেই টাকাকে তুলেছে, কীভাবে খরচ করেছে তা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা থেকে সদ্য বিদায়ী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. রেহেনা খাতুন বলেন, গ্যারেজের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকার ভ্যাট ট্যাক্স বাদ দিয়ে সব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। টাকাগুলো কী কাজে খরচ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমার কোনো অন্যায় থাকলে অডিট ধরে ফেলত।
কেকে/এআর