জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে স্ত্রী ও ভাতিজাকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে বাড়ির অঙ্গিনায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন স্বামী।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির অঙ্গিনায় দড়ি দিয়ে খুঁটির সাথে বাঁধা আছে এক যুবক এবং পাশের একটি লিচু গাছর সাথে বাঁধা আছে এক মাঝ বয়সী নারী। তাদের দেখতে ভীড় করে আছেন এলাকার নারী ও পুরুষরা।
জানা গেছে, শনিবার সকালে প্রতিদিনেরর মতো ভ্যান নিয়ে যাত্রী পরিবহনে বের হয়ে যায় ওই নারীর স্বামী। এসময় মহিলাটির স্বামী লক্ষ্য করে তার ব্যবহৃত ওষুধ (ইনহেলার) বাড়িত ছাড়া পরেছে। ওষুধটি নিতে সে পুনরায় বাড়িতে ফিরে গেলে তার শয়ন ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত তার স্ত্রী ও ভাতিজাকে দেখতে পায়। এসময় গ্রামবাসীদের সহায়তা নিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত হলে আপত্তিকর অবস্থায় তার স্বামী দেখে ফেলে। পরে তার স্বামী তাদের দুইজনকে বেঁধে রেখেছে।
অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী বলেন, আমি ভ্যান চালক। সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে ভুল করে বাড়িতে ফেলে আসা ওষুধ নিতে গিয়ে দেখি আমার ভাতিজার সাথে আমার স্ত্রী আপত্তিকর অবস্থায় আছে। তখন তাদের ধরে ফেলি। আগে থেকেই তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। আজ প্রমাণসহ হাতেনাতে তাদের আটক করেছি।
ওই নারীর বাবা বলেন, খবর পেয়ে এসে দেখি আমার মেয়েকে লিচু গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আমার মেয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ভাতিজার সাথে চাচির অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় গ্রামবাসী আটক করেছে এমন খবর পেয়ে সেখানে গ্রামপুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটি তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস