চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে হৃদয় (২৭), মৃত আলী ফকিরের ছেলে জয়নাল (৫৫), মৃত আবুল হোসেন ফকিরের ছেলে রহিম বাদশা (৫০) বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের গ্রামের শ্যামনগর গ্রামের শেকান্তর আলী প্রধানীয়ার ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেনে এবং একই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে জয়নালের মধ্যে মতলব উত্তর থানার অন্তর্গত সাবেক ১১নং হালে ১৩নং কালিপুর মৌজার বি.এস ৪৫৩ ও ৩৯নং খতিয়ানের অন্দরে সি.এস ৬৬৯ বি.এস ১১৬১ দাগে ভিটি ৪ শতক ভূমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১২ এপ্রিল জয়নাল ফকির জোরপূর্বকভাবে ওই বাড়ির সীমানায় প্রাচীর নির্মাণ করছিল। তখন তোফাজ্জল হোসেন বাধা দিলে সেই বাধা উপেক্ষা কর তিনি সেখানে ভবন নির্মাণ করেন। তোফাজ্জল হোসেন কোনো উপায় না পেয়ে চাঁদপুর আদালতের হৃদয় গংদের বিরুদ্ধে ফৌ. কা. বি. আইনে ১৪৫ ধারার বিধান মতে আবেদন করলে গত ১৪ এপ্রিল চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নথি পর্যালোচনা করে ৪৭০ স্মারকে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) ওই স্থানের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলা সরকারি কমিশনারকে (ভূমি) ঐ দাগের ভূমির দখল বিষয়ে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ান নির্দেশ করা হয়েছে। এবং দুই পক্ষকে কারণ দর্শাতেও নির্দেশ করা হয়েছে। আদালতের নোটিশের পরিপেক্ষিতে মতলব উত্তর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ১৪ এপ্রিল ওই স্থানে দুই পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন এবং চলমান কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসেন।
এ সময় তিনি জানিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থানে কোন রকমের কাজ করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু পুলিশের নোটিশ পাওয়ার ২ দিন পর আবার ওই স্থানে পুনরায় আবার কাজ শুরু করে জয়নাল ফকির ও তার লোকজনরা।
এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন জানান, আমি কোনো উপায় না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করে এইখানে ১৪৫ ধারা জারি করেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু তারা আদালতের রায় অমান্য করে পুনরায় কাজ শুরু করেছে।
জয়নাল ফকির জানান, আমি আমার জায়গার সীমানায় দেওয়াল নির্মাণ করছিলাম। তারা কী কারণে এই জায়গার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমি জানি না।
কেকে/এএম