কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়া মীগের সভাপতি ও সহসভাপতিসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তারা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে তারা এলাকায় ফিরেছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ওই ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে ৪ আগস্ট ফুলবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫ ও ৬নং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের নেতারা হলেন, উপজেলার রোসন এলাকার মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে ইছাহক আলী (৭০)। সে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। বড়ভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম ধনীরাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান (৬৫)। সে ওই এলাকার মৃত লতিফ সরকারের ছেলে। নওডাঙ্গা এলাকার আজিমুল হকের ছেলে হারুন অর রশিদ শাকিল (৩৫), সে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য । নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজের কুটি এলাকার মৃত বজলুল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪০),সে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপরদিকে, রাত সাড়ে ১১ টায় বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধণিরাম পুর এলাকার গেটের বাজারনামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাশের মাধ্যমে জুয় খেলার অপরাধে রুবেল ইসলাম (২৭) আমিনুল ইসলাম (৪০) বিপুল ইসলাম (৩০) ও সাইদুল হক (৪৫) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তারা সবাই উপজেলার পূর্ব ধনিরাম এলাকার বাসিন্দা।
এছাড়াও রাত সাড়ে ১২টায় সি আর ১৬৮/২৪ নম্বর মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আব্দুল খালেক (৩৫) ও জিআর মামলা নম্বর ৫৩৪/২৪ এর ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি মো. নুর আলম মিয়া (২০) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগের চার নেতাকে ৪ আগস্টের ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায়েরকৃত ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর মামলায়, জুয়া খেলার অপরাধে নিয়মিত মামলায় এবং ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামিসহ মোট ১০ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এএস