লালমনিরহাটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অর্ন্তবর্তী সরকার এখন দুর্নীতিমুক্ত সরকার। আগে তো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ঘুষ দিতে হতো। এজন্য বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে আপনাদের সহযোগিতা চাই।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘দুদকেরও বদনাম রয়েছে। আপনারা সেটি ধরিয়ে দেবেন, আমরা ব্যাবস্থা নেব। শতভাগ লোক বলে দুর্নীতি চাই না, তাহলে দুর্নীতি কীভাবে হয়? দুই একজন লোকের কারণে দুর্নীতি হয়। দশমিক শূন্য শূন্য শতাংশের কয়েকজন দুর্নীতি চান বা দুর্নীতি করেন। অনেক কর্মকর্তা সৎ, কিন্তু কাজ করেন না। এটিও কাম্য নয়।’
তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিক হতে হবে। সেবা গ্রহীতাদের চাহিদার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার বান্ধব নয়, বাংলাদেশ বান্ধব হতে হবে। কয়েকটা গণশুনানিতে গিয়ে আমার একটা বড় অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আসলে কোন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা না। আমরা চাইলে সে সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি।
‘সবাই মিলে গড়ব দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের আয়োজনে ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিয়া মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দুদকের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক তারিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম,দুদকের মহাপরিচালক আকতার হোসেন।
দুদকের এ গণশুনানিতে জেলার ৩৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০৬টি অভিযোগের শুনানি হয় এবং গণশুনানি শেষে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহীতার উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস