ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ভিপি তফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে পৌরসভার ভবন না করেই এককোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বর্তমান পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার ভূমি নজরুল ইসলাম ও পৌরসভার সচিব হাবিব উল্লাহ খান অফিস ও ব্যাংকের নথিপত্র দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যা মামলার আসামি, আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে পলাতক সাবেক মেয়র তফাজ্জল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করতে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ও ১৯ ফেব্রুয়ারি তার আপন শ্যালক লিটনের নামে ৫০ লাখ করে এককোটি টাকা বাঞ্ছারামপুর ইউসিবি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজে হাতিয়ে নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মাওলাগঞ্জ বাজারের কাছে পৌরসভার নিজস্ব ভূমিতে বিনা টেন্ডারে অতিগোপনে দুটি চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন।
দশদোনা গ্রামের আবিদ মিয়ার ছেলে কারণে মিয়া পৌরসভার কাছে পারিবারিক সমস্যা ও শারীরিক চিকিৎসার জন্য মেয়রের কাছে ঋণ চাওয়ার নাটক সাজিয়ে ‘পৌর ভবন নির্মাণ তহবিল হতে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক’ মর্মে পৌর সচিব ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন সাবেক এই আওয়ামী মেয়র। কিন্তু টাকা উত্তোলন করেন মেয়রের শ্যালক লিটন।
পৌর সচিব হাবিব উল্লাহ খান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের দাপুটে এই মেয়রের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা আমার ছিল না, তিনি যা বলেছেন আমি তাই করেছি।
এ বিষয়ে মেয়রের শ্যালক লিটন মিয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, এক বছর আগের কাহিনী আমার মনে নেই বলে ফোন কেটে দেন।
বর্তমানে পৌর মেয়র পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
কারন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মেয়রের দোকানে কাজ করি আমাকে দিয়ে আবেদন করিয়েছিলেন, আমি এর বেশি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে দুপুরে পৌর ভবনে বর্তমান পৌর প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সাবেক মেয়র যা করেছেন তা গুরুতর অনিয়ম। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
কেকে/এএম