বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথে চরম বৈষম্য ও ছাত্র বিচ্ছিন্ন একজনকে সদস্য মনোনয়ন দেয়াড় প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত বান্দরবানে শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু হতবাক করা বিষয় হলো গত ৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন পার্বত্য জেলা পরিষদ এ নতুন চেয়ারম্যান ও সদস্য মনোনয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হলেও আলোচনা বিহীন ও বান্দরবানের সাধারণ ছাত্র বিচ্ছিন্ন একজনকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোয়ন দেয়া হয়।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, দু:খের বিষয় হলো পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে সাধারণ ছাত্রদের মতবিনিময় সভা হলেও ছাত্র বিচ্ছিন্ন একজন প্রতিনিধিকে ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়, যা বান্দরবানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এক ধরনের প্রতারণার শামিল।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, জন বিচ্ছিন্ন ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ করে দায়িত্ব দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের কোন উপকারে আসবে না।
এসময় বক্তারা, বান্দরবানের লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে কোন ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত না করার ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি চাকমা,সনাতনী ও খেয়াং সম্প্রদায় থেকে কোন ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের সদস্য না করায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায় থেকে একজন করে প্রতিনিধি এবং বৈষম্যহীন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মুসা, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, রাশেদুল ইসলাম,মো. জুবায়ের হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগত বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এইচএস