মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫,
৯ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা      বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি      আমরা এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ দরিদ্র থাকবে না: ড. ইউনূস      দেশের ভূখণ্ডে আরকান আর্মি, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন      শীর্ষ পর্যায়ে পদ পাচ্ছে স্বৈরাচারের দোসররা       পলাতক নেতাদের বিলাসী জীবন, অস্তিত্ব সংকটে তৃণমূল আ.লীগ      আন্দোলনে যাবে না বিএনপি      
খোলাকাগজ স্পেশাল
শীর্ষ পর্যায়ে পদ পাচ্ছে স্বৈরাচারের দোসররা
আলতাফ হোসেন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫২ পিএম  (ভিজিটর : ৫২)
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের শাসনভার নিয়েছে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের কাজ হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের মাধ্যমে স্বৈরাচারের ছায়ামুক্ত দেশ গড়া। তবে এই সরকারের ক্ষমতাকাল আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রশাসনের সিংহভাগ শীর্ষ পদে বসে রয়েছে স্বৈরাচারের দোসররা। শুধু তাই নয়, নতুন করে যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যেও অনেককে পাওয়া যাচ্ছে- যারা বিগত হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগী।

সাম্প্রতিক নিয়োগের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে বিতর্কিত ভূমিকা রাখা একাধিক ব্যক্তি এখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। এর ফলে একদিকে যেমন বিতর্কিত নিয়োগ ও পদোন্নতি অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে বঞ্চিত ও নির্যাতিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জনগণের আস্থা বিনষ্ট করছে এবং দেশের কাক্সিক্ষত প্রশাসনিক সংস্কার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে আলোচিত সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের পুনরায় নিয়োগকে ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রশাসনজুড়ে এখন প্রশ্ন উঠছে- সরকার কি আস্থাভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়, নাকি পুরনো শক্তিকেই নতুন মুখে প্রতিষ্ঠিত করছে? 

বিশ্লেষক ও অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, গত ১৬ বছরে জনপ্রশাসন রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি এবং দুর্নীতির কারণে চরম দুর্বল হয়ে পড়ে। সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশাসনকে পুনর্গঠনের প্রয়োজন থাকলেও, এখনও আগের স্বৈরাচারী সরকারের আমলারা প্রশাসনে মূল ভূমিকায় রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা আগের মতোই দায়িত্ব পালন করছেন। মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নেও দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতিবাজ ও দলীয় আনুগত্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে, আর সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের করা হচ্ছে হয়রানিমূলক বদলি। 

প্রশাসনের ভেতরে এখনো তৎপর স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া আমলারা। গত ৫ আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুদ্ধি অভিযান চালালেও বাস্তবতায় খুব কমই পরিবর্তন এসেছে। প্রশাসনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই নিয়োগগুলো সরকারের ভিতরে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন, তারা মনে করছেন-এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের আত্মত্যাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। 

তবে সম্প্রতি সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক তীব্র হয়েছে। তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের জেনেভা অফিসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ওই সময়ে আওয়ামী সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া এবং জাতিসংঘে সরকারের পক্ষ ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতেন তিনি। 

মানবাধিকার কর্মীদের ভাষ্য মতে, হাসিনা সরকারের পতন না ঘটলে, এই কর্মকর্তা দুই হাজার শহিদের মৃত্যু পর্যন্ত মিথ্যা যুক্তিতে ঢাকার চেষ্টা করতেন। 
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত সরে আসে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া অসন্তোষ ও বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। 

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নেওয়া এই নিয়োগ প্রস্তাবের খবরে সেসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রতিশ্রুতিশীল ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়। অনেকে মনে করেন, সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একজন ব্যক্তিকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করা হলে তা প্রশাসনিক ভারসাম্য নষ্ট করবে এবং সরকারের কূটনৈতিক অবস্থান দুর্বল করে তুলবে।

পররাষ্ট্র ক্যাডারের নবম বিসিএস কর্মকর্তা সুফিউর রহমান ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে কূটনীতিক হিসেবে সরকারি দায়িত্বে যোগ দেন। তার ব্যাচের অনেক সহকর্মী পদোন্নতিতে এগিয়ে থাকলেও ২০১২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেয়। এরপর এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০২২ সালের অক্টোবরে সুইজারল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। পাশাপাশি তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন। মানবাধিকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৎকালীন সরকারের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

তার আগে তিনি মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত, যখন বাংলাদেশে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। তার সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, অনেকেই একে ‘প্রতীকী ও বাস্তবতাবিবর্জিত’ বলে সমালোচনা করেন।

জানা যায়, তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন তার আস্থাভাজন হিসেবে কূটনৈতিক অঙ্গনে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ তার অবসরোত্তর মেয়াদও ২০২৩ সালের অক্টোবরে আরও কয়েক মাসের জন্য বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, সরকারকে স্পর্শকাতর ও উচ্চপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের জায়গায় নিয়োগ দেওয়ার আগে সার্বিক বিচার-বিশ্লেষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যখন নিয়োগের পর সমালোচনা শুরু হয়, তখন তা বাতিল করতে হয়। কিন্তু রেখে দেওয়া বা বাতিল করার এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে না আসলে মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে এই আস্থার সংকট দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। আমরা এই সরকারের কাছে সংস্কারমূলক বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যাশা করেছি, সেই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য আস্থা অপরিহার্য। যদি নতুন সরকারও একই সংকট তৈরি করে, তবে কাক্সিক্ষত পরিবর্তন সম্ভব হবে না।’

ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ মন্তব্য করেন, ‘আস্থার সংকট তৈরি হলে সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই নানা বিষয়ে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাই সরকার এমনভাবে কাজ করুক যাতে জনগণের প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকে।’

এর আগে মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে তা বাতিল করে সরকার। কিন্তু আবার তাকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, ‘সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে তারা আস্থার সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারেনি। আগের সমালোচনার পরও আবার সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার অর্থ হলো সরকার ঝুঁকি নিয়েই এগিয়েছে। এই নিয়োগ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় সমালোচনার মাত্রা আরও গভীর হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুফিউর রহমানের বিভিন্ন কার্যকলাপ ও দায়িত্ব পালনের বিষয়ে ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মাত্র দুই মাস আগেই তার নিয়োগ নিয়ে সমালোচনা ওঠায় তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এখন আবার নিয়োগ দেওয়া হলো। যদি ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য সরকার কাউকে নিয়োগ দেয়, তাহলে তা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাকে আরও দুর্বল করে দেবে।’

সতর্কতা ও বিচক্ষণতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ড. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, ‘এখনই দেশ গড়ার উপযুক্ত সময়। এই সময়ে কোনো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ঠিক হবে না। যারা প্রকৃত অর্থে দেশের জন্য কাজ করতে আগ্রহী, তাদেরই সামনে আনা উচিত-তা চুক্তিভিত্তিক হোক বা মেয়াদ বাড়িয়ে হোক। কিন্তু কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে পুনরায় নিয়ে আসা হবে অত্যন্ত অশোভন ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি সাবেক সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ আমলাদের এখনো কীভাবে এবং কার স্বার্থে পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, গত কিছুদিন আগে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ দেওয়া কয়েকজন আওয়ামী দোসর সচিবদের পদায়ন বাতিল করতে লিখিত ও মৌখিকভাবে দাবি জানানো হয়। অথচ এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একজন আওয়ামী দোসর সচিবকেও অপসারণ করেনি। বরং আগের মতোই বিশেষ উদ্দেশ্যে নতুন করে আওয়ামী দোসরদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

মাদারীপুরে চার খুনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লবে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাঁধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট!
ফেঞ্চুগঞ্জে বজ্রপাতে মাঝির মৃত্যু
সাংবাদিক হাবিবুর রহমানে অকাল মৃত্যুতে ডেমরা প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল

সর্বাধিক পঠিত

খোলা কাগজে সংবাদ প্রকাশের ৫ ঘণ্টার মধ্যে কোটি টাকা ফেরত দিলেন মেয়র
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত
বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
বিতর্কিত এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিনকে অব্যাহতি
শ্রীমঙ্গলে ‘তথ্য কেন্দ্র ও ব্রেস্ট ফিডিং রুম’ এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close