বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন আচরণবিধি চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া প্রয়োজন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেকখানি বন্ধ করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে পার্টির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সাধারণ সম্পাদকের সাথে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক ও মাহমুদ হোসেন এই বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় দুই ঘন্টা স্থায়ী এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সাইফুল হক দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ধসে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানই নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় কর্তব্য। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন যারা নষ্ট করেছেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসময় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন কার্যকরি ভূমিকার ওপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহিতার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আচরণবিধি চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচনে টাকার খেলা, সন্ত্রাস, গুন্ডামী ও প্রশাসনিক ম্যানিপুলেশান বন্ধ করতে না পারলে নির্বাচনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে এবং জনবান্ধব রাজনীতিকেরা নির্বাচিত হতে পারবেন না।
সাইফুল হক বলেন, সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ইদুর দৌড় অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ৩১ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অধিকাংশ প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন এবং বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে তারা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারীত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন।
কেকে/এজে