সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বসবাসকারী একমাত্র সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মমর ওপর হামলা করে ইট দিয়ে তার মাথা থেতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার বেলা ৪ ঘটিকার দিকে সন্ত্রাসী নুরুজ্জামান তালুকদার বাবুর চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলামের স্বপন মাস্টারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে তার নিজ বাড়ীর বাহির বাড়ীতে সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মমর ওপর পেছন দিক থেকে হামলা করে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মম বর্তমানে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মমর সাথে হাসপাতালে কথা হলে তিনি বলেন, আমি তথ্যগত কাজে সকালে আমার দৌলতপুরের বাড়ী থেকে তারাকান্দিতে চলে আসি। কাজ শেষে বেলা ৩:৫০ ঘটিকার দিকে বাড়ী ফিরি। বাড়ী ফেরার কিছু সময় পর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ীর বাহির বাড়ীতে গেলে সন্তাসী রফিকুল ইসলাম স্বপন মাস্টারের ছেলে রিফাত দৌড়ে এসে ইট দিয়ে স্বজোরে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। পরে আরো একাধিক সন্ত্রাসীরা আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় যুবদল নেতা ওমর ফারুক ও ইমন আমাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে আমার বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের ডাক চিৎকারে বাবু তালুকদারের শত শত সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমার বাড়ী-ঘর ঘেরাও করে বাড়ীঘর জ্বালিয়ে ভারতে পাঠানোর হুমকি দিতে থাকে। আমি প্রথমে সরিষাবাড়ী থানায় ঘটানাটি মুঠোফোনে জানাই। পরে অবস্থার আরো অবনতি হলে সরিষাবাড়ী অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ অনবরুদ্ধ অবস্থা থেকে আমাকে মুক্ত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া জানান, ঘটনার সংবাদ শুনেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অবরুদ্ধ সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/ এমএস