জুলাইয়ের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মামলার আসামি, আওয়ামীপন্থী অভিনেতা ও সাবেক আওয়ামী এমপি প্রার্থী কমেডি অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে মেরে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাবিবুল্লাহ বাহার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
দুপুরের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গেছে এক বিধ্বস্ত সিদ্দিককে। তার ওপর নির্যাতনের আলামত স্পষ্ট, ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল তার পোশাক।
ওই ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা গেছে, থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিদ্দিককে। তবে কোন থানায় নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানতে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ঘনিষ্ঠরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তবে সিদ্দিকের ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এই কৌতুক অভিনেতা।
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকে ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান তিনি।
‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে টিভি দর্শকদের নজর কাড়েন সিদ্দিক। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ তাকে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে সিদ্দিককে।
কেকে/এজে