কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জুয়ায় আসক্ত ছেলে মো. বিপ্লব হোসেনের (৩৫) দ্বারা বারবার শারীরিক অত্যাচার, নির্যাতন আর হত্যার হুমকির ফলশ্রুতিতে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাবা মো. নুরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভেড়ামারা থানায় নিজে হাজির হয়ে এ মামলা করেন তিনি। দায়েরকৃত মামলা নাম্বার ৩২। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবা নুরুল ইসলাম।
এদিকে বাবার করা মামলার প্রেক্ষিতে ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার বিপ্লব হোসেন নুরুল ইসলামের প্রথম ছেলে সন্তান। তাদের বাড়ি ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়ায় অবস্থিত।
মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিপ্লব আমার বড় ছেলে। সে মারাত্মকভাবে প্রতারণা, মাদকাসক্ত আর জুয়ায় আসক্ত। জুয়ার টাকা নিতে দীর্ঘদিন ধরে সে আমাকে আর আমার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন আর হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এর আগে ২০২৪ সালের ২রা নভেম্বর সে আমাকে মারাত্মকভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করে। আমি বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলাম। তার মাকে মেরে হাতের আঙ্গুল ভেঙে দিয়েছিল। গতকাল সোমবার ২৮ এপ্রিল সে আমাকে হাসুয়া দিয়ে হত্যা করতে এসেছিল। গত বছর সে প্রতারণার মাধ্যমে ভেড়ামারা থানার ওসি, সার্কেল ও এক কনস্টেবলের আত্মীয়ের কাছ থেকে যথাক্রমে ৮০ হাজার, ৪৫ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছিল। পরবর্তীতে থানার সালিশি বৈঠকে এই টাকা তাকে পরিশোধ করতে হয়েছে। তার ছেলের প্রতারণা আর জুয়ায় আসক্তির কারণে ভুক্তভোগীরা তার বাড়িও পুড়িয়ে দিতে গেছে কয়েকবার। বিপ্লব হোসেন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করেছে একাধিক।
বিপ্লবের ছোট ভাই ইখলাস হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সোনার সংসারকে নষ্ট করেছে সে। লাখ লাখ টাকা জুয়া খেলে শেষ করেছে সে।
বিপ্লবের বোন বন্যা খাতুন বলেন, সংসার বিমুখ বিপ্লবের নেশাই বাবার থেকে জোর করে সম্পত্তি লিখে নেয়া আর বিপথে তা খরচ করা। জুয়ার টাকা জোগাতে সে আমার বাবা আর মাকে নির্মম নির্যাতন করতো।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, বাবা নুরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলায় বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী বিজ্ঞ আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কেকে/ এমএস