প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪, ১০:০০ এএম (ভিজিটর : ১৫৮)
বহুল আলোচিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরো ৯০ দিন সময় বাড়িয়েছে জাতীয় সংসদ। পঞ্চম দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করায় বিলটি তামাদি খাতায় নাম উঠলো। কারণ আগামী ৯০দিনের মধ্যে চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। আর নতুন সংসদে বিলটি পাস করাতে হলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন করে সংসদে উত্থাপন করতে হবে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু’র আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানোর অনুমোদন দেয় জাতীয় সংসদ।
গত বছরের ২৮ মার্চ আলোচিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ সংসদে তুলেছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুরু থেকেই সাংবাদিক সংগঠনগুলো বিলটির বিরোধীতা করে আসছিলো।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, কোনও গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল এক মাসের অধিক হবে না। পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিনের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড প্রতি পাঁচ বছর পর পর গঠন হবে। ওয়েজ বোর্ড সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও নিবন্ধিত অনলাইন মাধ্যমের জন্য প্রয়োজনে পৃথক পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে। আগে শুধু সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার জন্য এই ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হতো।
বিলে বলা আছে, গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত কর্মীদের ‘গণমাধ্যমকর্মী’ বলা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের তিনটি বিভাগ করা হয়েছে এই বিলে। সেগুলো হলো- অস্থায়ী বা সাময়িক, শিক্ষানবিশ ও স্থায়ী। আর গণমাধ্যমকর্মীকে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। এর বেশি কাজ করাতে চাইলে ওভার টাইম ভাতা দিতে হবে।
আগে গণমাধ্যমকর্মীরা চলতেন ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলি) আইন-১৯৭৪’-এর আওতায়। এর সঙ্গে শ্রম আইনের কিছু বিষয় সাংঘর্ষিক হচ্ছিল। পরে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের শ্রমিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই বিল পাস হলে গণমাধ্যমকর্মীরা আর শ্রমিক থাকবেন না, তাদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করা হবে।