নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আপন চাচিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় খুনি ইমরান খাঁন আকাশ ওরফে রাহুলের (১৯) ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র ও যুবসমাজ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবি করে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মেয়ে ইসরাত জাহান ইসু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়ক হাসিব আহমেদ আসিফ, নোয়াখালী জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফরহাদুল ইসলাম, নোয়াখালী কলেজের ছাত্র আক্তারুজ্জামান তারেক।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে মামলার ২-নং আসামি নিলুফা জাহান রত্না জামিনে এসে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নানান রকম হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। খুনি আকাশের জন্মনিবন্ধনে বয়স কমিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে একটি মহল।
এর আগে, গত বুধবার ৩০ অক্টোবর রাতে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল্লাহপুর হাসপাতালের টেক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এরপর ২ নভেম্বর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত ইমরান খান আকাশ বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম মানিকের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি।
জানা যায়, তিন কন্যার জননী নিহত তাজনাহার বেগম (৪৬) সম্পর্কে ইমরান খান আকাশের আপন চাচি। আটমাস আগে তার স্বামী আলমগীর খান মারা যান। গত ৩০ অক্টোবর রাতে অভিযুক্ত আকাশ তার সহযোগিদের নিয়ে আপন চাচিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবে।
কেকে/এমআই