আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রংপুরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রংপুর পর্যটন মোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের সাথে ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কমিউনিটি পর্যায়ে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্প্রসারণে শান্তি অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর ও প্রচার কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
‘রূপসা' একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহায়তায় “নাগরিক” প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচার ও শান্তি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রূপসা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল এবং সঞ্চালনা করেন রূপসার প্রোগ্রাম অফিসার সামিয়া জামান সুমি।প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রংপুর বিভাগের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, তারাগঞ্জ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মো. আব্দুস সালাম, কুড়িগ্রাম জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা নূর বখত, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি উদয় শংকর চক্রবর্তী,বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আছগর আলী, রংপুর ব্রাক্ষ্মন সংসদের সভাপতি বিশ্বনাথ মুখার্জি ও সুজনের রংপুর মহানগর সভাপতি ফখরুল আলম বেঞ্জু।
সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশকে আমরা সকলে মিলে এমন একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, যেখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে এবং নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে। যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠিত হবে। সামাজিকভাবে যেকোন অন্যায় মোকাবেলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
প্রতিনিধিবৃন্দ আরও বলেন, এই উদ্যেগটি দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
সম্মেলনে ধর্মীয় নেতারা সকল অংশগ্রহণকারীর সামনে শান্তি অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন, যা শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। উপস্থিত সকলে শান্তি অঙ্গীকারনামার প্রতি একমত পোষণ করে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
সম্মেলনে ধর্মীয় নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্র, এনজিও প্রতিনিধি, মিডিয়ার প্রতিনিধি, আইনজীবী এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কেকে/এইচএস