ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউপির শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় ও ব্যাপক লুটতরাজ হয় বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে দিনভর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার সাবেক মেম্বার শামিম ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে নরসিংদীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও গুরুতর আহত ১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, মামলা ও পুলিশের ভয়ে অনেকেই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন, তবে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয়ভাবে গ্রুপ দুটি নিজ বংশের নামে ‘শিবু’ ও ‘আজগর আলী গ্রুপ’ নামে পরিচিত। তাদের নিয়ন্ত্রণ করে মাষ্টার মাইন্ডার মোক্তার মিয়া।
দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরেরর বিরোধ ছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয়ে থেমে থেমে দিনভর সংঘর্ষ চলতে থাকে।
মডেল থানা পুলিশের ওসি মোরশেদ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জানান, দুই গ্রুপের কয়েকশ লোক টেঁটা, রামদা, ঢাল, সুরকি, ইট, পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষ্যদর্শী মুঠোফোনে বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে দুই গ্রুপের লোকজন আমাদের লোকজনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শো ডাউন দিতে থাকে। সেখান থেকেই আজকের এই ঘটনা।
টেঁটা বিদ্ধ ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহতরা হলেন- আব্দুল মিয়া, তাজু মিয়া, হালিমা বেগম, শাহিন মিয়া, ময়না বেগম, নজরুল ইসলাম, বিপ্লব মিয়া, মাসুম মিয়া, রহমতুল্লাহ, শাহিন মিয়া-১, শাহিন মিয়া-২, আহসান উল্লাহ, ধন মিয়া, জামাল মিয়া, আাসাদ মিয়াসহ আরও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। যাদের নাম জানা যায়নি। হামলাকারীদের আশংকাশরা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে, পুলিশের নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ও প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেফতার না করায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম মুছা বলেন, আমি বার বার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। অথচ, তিনি বলছেন ঘটনা সামান্য। তাহলে কি জনগণ আইন হাতে তুলে নিবে?
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামান্য সমস্যা হয়েছে। তেমন গুরুতর কিছু নয়। থানায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।
কেকে/এজে