চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য উপজেলা লোহাগাড়ায় সড়কসহ বিভিন্ন দূর্ঘটনায় শারীরিকভাবে আহত রোগীদেরকে জরুরী চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে নির্মিত হয় ৩ তলাবিশিষ্ঠ ট্রমা সেন্টার।
প্রায় ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যায়ে ২০১২ সালে নির্মিত কাজ শেষ হওয়ায় ট্রমা সেন্টারটি ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত এর কোন কার্যক্রম নেই। শুধু ২০ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি এভাবেই দিন দিন অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ট্রমা সেন্টার চট্টগ্রাম দক্ষিণ এবং কক্সবাজারের উত্তর এলাকাজুড়ে মানুষের মনে আশার সঞ্চার জাগিয়েছিল। সড়ক দূর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য এ ট্রমা সেন্টারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা কেন্দ্র।
কিন্তু, নির্মাণে পর প্রায় ১১ বছর অতিবাহিত হলেও এ ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম চালু করার ব্যাপারে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাদের মন্তব্য হল- বহু টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি জনবল ও যন্ত্রপাতি ছাড়া এভাবে ফেলে রাখায় প্রতীয়মান হয় যে, লোহাগাড়াবাসীসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনের প্রতি এক প্রকার বিমাতাসূলভ আচরণ। কারণ, লোহাগাড়া অংশসহ আশেপাশে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সংঘঠিত দূর্ঘটনায় আহত লোকজনকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যেতে হয়। তার মধ্যে অনেক আহত রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মারা যায়।
এছাড়া কোন কোন রোগীর অস্বচ্ছল অভিভাবকেরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণে আর্থিক দূরাবস্থার সম্মুখীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তাৎক্ষণিকভাবে। তাই জনগণ এ ট্রমা সেন্টারটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ২০ অক্টোবর মুঠোফোনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, উদ্বোধনের পর থেকে এ ট্রমা সেন্টারটি কালের স্বাক্ষী হয়ে এভাবে পড়ে আছে। জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটে ট্রমা সেন্টারটি চালু হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি বহুবার লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি পাঠিয়েও কোন প্রকার আশানুরূপ সাড়া পাননি। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তিনি এ ব্যাপারে অসংখ্য জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।
কেকে/এজে