অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সফরসঙ্গী হয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ ২৯) যোগ দিয়েছেন সিলেটের পরিচিত আওয়ামীপন্থী প্রকাশক রাজিব চৌধুরী।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, রাজিব সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
রাজিবের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্যাডার রাজীব গংরা বিগত দিনে সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনে শোষণ করেছে। রাজীবের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে বই প্রকাশ না করা, বই বিক্রি করে লেখককে প্রাপ্য রয়্যালিটি না দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সিলেট বইমেলা থেকে ষড়যন্ত্র করে ইসলামী স্টল তুলে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।
" style=
তার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান চৈতন্যের ব্যানারে আওয়ামী লীগের এম এ মান্নান এবং ড. সাদিকের পক্ষে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম নাদেলের নির্বাচনী মাঠে কাজ করা, হাসিনার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোরুজ্জামানের পক্ষে কাজ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
" style=
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সুধীমহলে রাজিবের মতো ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক না করে কিভাবে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বানানো হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
" style=
এদিকে, রাজিব চৌধুরীর সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না সিলেটের বৈষম্যবিরোধীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ সেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে কীভাবে রাজিবের মতো দোসররা রাষ্ট্রীয় সফরে যায়? এটা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি। এই তামাশা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আরেকটি ৫ আগস্ট ঘটাতে প্রস্তুত ছাত্র-জনতা।