শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫,
২৭ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ক্ষমতার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে রাজনৈতিক অনৈক্য      বাড়তি ব্যয় চাপছে ভোক্তার ঘাড়ে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও      পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম      শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব      যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি      
রাজনীতি
সংস্কারকে অগ্রাধিকার, এরপর নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলনের আমির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪০ এএম  (ভিজিটর : ১২৪)
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ফাইল ছবি

ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ফাইল ছবি

নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে, এই সংস্কার দ্রুত করে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ও অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করছে দলটি।

ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে কোনো আপস করতে তারা রাজি নেই। সংস্কার ভালোভাবে করা উচিত এবং দ্রুত করা উচিত, যাতে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি। কিন্তু, অগ্রাধিকার দিতে হবে সংস্কারকে।

তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য খুব বেশি সময় নেওয়া উচিত না। সময়ের কথা বলতে হলে আমি মনে করি, এটা এক বছর বা দেড় বছরের মধ্যে হওয়া উচিত।

১৯৮৭ সালে গঠিত ‘ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’ পরবর্তীতে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে রাজনীতির মাঠে সরব হয়।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামি দলগুলো নিয়ে একটি মহাজোট গঠনের আলোচনা চলছে বলে জানান সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, সব ইসলামি দল একটি মহাজোট গঠনের জন্য কাজ করছে। আমরা আলোচনা করছি। নির্বাচনের জন্য একটি ঐক্যফ্রন্ট তৈরি করতে পারব বলে আশা করছি।

তার ভাষ্য, ইসলামি দলগুলো একটি ব্যানারে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করবে এবং প্রতিটি আসনে নিজস্ব প্রার্থী না দিয়ে জোট প্রার্থীদের সমর্থন দেবে।

এমন কোনো জোট হলে তার নেতৃত্ব কে দেবে, জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, বেশিরভাগ দলই আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব চাচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচনী জোটের প্রয়োজন হয় না। দলগুলো স্বাধীনভাবে প্রচারণা চালাতে পারে। এমনটা হলে নির্বাচনী জোটের পরিবর্তে তাদের জোট একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মের মতো হবে।

সংসদ গঠনের জন্য প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রতিটি দলকে তাদের ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভোটের মূল্য দেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি এবং অন্যদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। এই ব্যবস্থা বিশ্বের ৯১টি দেশে কার্যকর রয়েছে। সবাই এই ধরনের ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হয়।

তিনি বলেন, প্রচলিত ব্যবস্থা জনগণের জন্য কাজ করছে না। আমরা দেখেছি, এর মাধ্যমে কেবল ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়।
তার ভাষ্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যতগুলো সরকার এসেছে, তার প্রতিটির মধ্যে ফ্যাসিবাদী বৈশিষ্ট্য ছিল এবং কেবলমাত্র আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির জানান, পূর্ববর্তী শাসনামলগুলো জনগণ ও দেশের জন্য ক্ষতিকর অনেক আইন করেছিল। তারা সংবিধানে বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছে। সেগুলোই প্রথমে বাদ দেওয়া উচিত।

কেমন রাষ্ট্র চান, সেখানে অমুসলিমদের মর্যাদা কেমন হবে, জানতে চাইলে সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য ইসলামই একমাত্র মাধ্যম, যেখানে প্রত্যেকের অধিকারকে সম্মান জানানো হয়। আমি শুধু একটি কথাই বলবো, যেকোনো ধরনের আশঙ্কা দূর করতে হবে। ইসলাম বলে, একজন অমুসলিমের সম্পত্তি ও সম্পদ সমান সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে তাদের মুসলিমের সমান মর্যাদা দিতে হবে।

নারী অধিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলাম নারীদের সবচেয়ে বেশি অধিকার দিয়েছে। নারীর স্বাধীনতা মানেই নগ্নতার অধিকার নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, নারীর স্বাধীনতা বলতে এখন এটাই বোঝায়। এটা কেবল সমাজের ধ্বংস ডেকে আনে।

রেজাউল করিমের বাবার অধীনে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ২০০৪ সালে নারীদের খেলাধুলার বিরোধিতা করেছিল। সংগঠনটি নারীদের একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল৷ তারা এটাকে ‘নারীর জন্য অপমানজনক’ বলে ঘোষণা করে।

রেজাউল করিম বলেন, ইসলামে নারীর মর্যাদা প্রকৃতপক্ষে পুরুষের চেয়ে বেশি। ইসলাম বলে, বাবা ও মা যদি কোনো সন্তানকে ডাকে, তাহলে সন্তানের উচিত আগে মায়ের ডাকের উত্তর দেওয়া।

তিনি জানান, তাদের দলে লক্ষাধিক নারী কর্মী রয়েছেন। তবে, দলের নীতিনির্ধারণী কমিটি মজলিশ-ই-শুরা এবং কার্যনির্বাহী কমিটিতে এখনো ৩০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। যদিও এই লক্ষ্য অর্জনে তার দল কাজ করছে বলে তিনি জানান।

তাদের নীতিনির্ধারণী কমিটি দুটোতে নারী অংশগ্রহণের হার ঠিক কত শতাংশ, জানতে চাইলে তিনি একই উত্তর দেন যে, দলটির নীতিনির্ধারণী সংস্থায় ৩০ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের আর থাকা উচিত নয় উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আমরা মনে করি, বৃহত্তর স্বার্থে তার নিজেরই পদত্যাগ করা উচিত। সেক্ষেত্রে আমাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।

সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

কেকে/এমআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ   চরমোনাই পীর   অন্তর্বর্তী সরকার   সংস্কার   নির্বাচন  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

জাল টাকার নোট দিয়ে পান-সিগারেট কিনতে গিয়ে আটক যুবক
জীবননগর সীমান্তে ৬৬লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
অভিনেত্রী নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ
তীব্র শীতে কাপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন ৮.৫ ডিগ্রি

সর্বাধিক পঠিত

নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
লামায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার
পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম
গঙ্গাচড়ায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারে বেশি বিল আসার কারণ জানাল বিএন্ডটি

রাজনীতি- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝