বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলি ছুড়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৮) নামে এক যুবককে গুরুতর আহত করার অভিযোগে টঙ্গীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সাবেক এমপির ফুপুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা আসান উল্লাহ।
আহত আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। চোখে কিছুই দেখতে পায় না সে। মামলার বাদী অহত ছাত্রের বাবা আসান উল্লাহ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বড়ইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার আসামিরা হলেন- গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ (৫০), সাবেক কাউন্সিলর নাসির মোল্লা (৫৫), মাসুদুল হাসান বিল্লাল (৪৩), শাহীন মৃধা (৪২), আমজাদ হোসেন (৫০), বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৪৫), ফারুক আহম্মেদ (৫০), গিয়াস উদ্দিন সরকার (৫৫), খালেদুর রহমান রাসেল (৪৫), মাজহারুল ইসলাম দীপু (৪৫)। বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসেন (৫৫), টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল আলাউদ্দিন মিয়া (৫৫), সিনিয়র শিক্ষক হানিফ উদ্দিন (৫০), জাফর মাস্টার (৫০), সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যা নিকেতনের ভাইস প্রিন্সিপাল মজিবুর রহমান (৫০), সফি উদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মনিরুজ্জামান (৫৫), সিনিয়র শিক্ষক আবুল কাসেম (৫০), মোস্তফা কামাল (৫৫), সাবেক এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের ফুফু মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজমা বেগম (৪০) সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২০৩ জন। আসামিরা প্রায় সকলেই টঙ্গী-গাজীপুরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী মামুন উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে ছাত্র আন্দোলনে যায়। এসময় আসামিদের আদেশে ও মদদে প্রকাশ্যে পুলিশ, র্যাবসহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অস্ত্রধারীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর আতর্কিত গুলি চালায়। এতে মামুন শরীরে ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বর্তমানে সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) টিকিৎসাধীন। চোখে কিছুই দেখতে পায় না।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদি আদালতে পিটিশন দাখিল করে। পরে আদালতের নির্দেশে বুধবার থানায় মামলা রুজু হয়। মামলায় শনাক্ত আসামি ২০৩ জন। কোন অজ্ঞাতনামা আসামী নেই।
কেকে/এজে