পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে স্বাধীন মিয়া (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তার বাড়ির সামনেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বাধীন উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে।
নিহতের মা জরিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আজমপুর নার্সারীর সামনে আজমপুর গ্রামের স্বপন চৌধুরী নামে এক যুবক স্বাধীনকে মারধর করে ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয়রা স্বাধীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতক স্বপন ওই এলাকার রোকন উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।’
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, মসজিদের সামনে পাওনা টাকা নিয়ে স্বাধীন ও রামধননগর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের স্বপনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজন মারমুখী হয়ে উঠে। কিছুক্ষণ পর আরও ৪-৫ জন যুবক এসে স্বপনের সাথে যুক্ত হয়ে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে স্বপন চৌধুরী-স্বাধীনকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। সাথে সাথে স্বাধীন মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে স্বাধীনকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বাধীনকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্বাধীনকে মৃত ঘোষনাকারী কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়জুন্নেছা আমিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু লোকজন মৃত অবস্থায় স্বাধীন নামে যুবকটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পেটে বড় ধরণের ছুরিকাঘাত রয়েছে। অনেক রক্তক্ষরণও হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ঘটনার পর পর নিহত স্বাধীন মিয়ার বাবা ফজল মিয়া রাতেই ৫ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সের মাধ্যমে রাত ৩টার দিকে জেলার নবীনগর থানাধীন নারুই গ্রাম থেকে স্বপন ও তার ভাই শরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
কেকে/এমআই