দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ভারতের সাথে ভুটানের একটা ফ্রেন্ডশিপ(বন্ধুত্ব) চুক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা ভুটানের সাথে হেজিমনিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি না করলেও একটা উপনিবেশে পরিণত করেছিল। এখন আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতীয় হেজিমনি পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ আয়োজিত ‘শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙ্গালি মুসলমানের রেঁনেসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রেঁনেসা হতে গেলে, আমাদের সবকিছুতে পারদর্শী হতে হবে। জুলাই বিপ্লব সফল করতে হলে, বাঙ্গালী মুসলমান আইডেনটিটিকে ধারণ করতে হবে। বাঙ্গালী মুসলমানের আলাদা কালচার, ঐতিহ্য আছে।
আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক বলেন, সরকার দ্রুত দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে আশা করি। তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। সরকার কার্যক্রমের মূল বিষয় নিয়ে কারও কোন আপত্তি নেই। শুধু নির্বাচনের সময় নিয়ে মতভেদ আছে।
তিনি আরও বলেন, তবে নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে তা নয়। আমাদের কাজ হলো লড়াই চলমান রাখা। লড়াইয়ের প্রথম কাজ হলো আমাদের সবদিকে নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। ইতিহাস ঐতিহ্যকে জানতে হবে। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দৈনিক আমার দেশ কাজ করে যাবে। বাঙ্গলী মুসলমানের আইডেনটিটি তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে ‘দৈনিক আমার দেশ’।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র সাহায্যের আড়ালে আমাদের উপর প্রভু সাজার মানসিকতা ও আধিপত্যবাদী চিন্তা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আমাদের কাছে এসেছে। চব্বিশের ছাত্রজনতা অভ্যুত্থানে আজ অনেককেই মাস্টারমাইন্ড হতে দেখি। চব্বিশের প্রেক্ষাপট কারা তৈরি করেছে? একসময় দেখতাম সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, একমাত্র মাহমুদুর রহমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই অভ্যুত্থানের অন্যতন কারিগর মাহমুদুর রহমান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেসবাহ-উল-আজম সওদাগরসহ অন্যান্যরা।
এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে