প্রকাশ: শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪, ৬:৩৮ এএম (ভিজিটর : ১১২)
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে প্রার্থীরা জমজমাট প্রচারে নেমেছেন নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে। একেবারেই শেষ সময়ে বিরামহীন গণসংযোগসহ নানাভাবে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী মাঠে থাকলেও সবচেয়ে বেশি সরগরম করে রেখেছেন ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও তার কর্মীরা।
দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্য। যে কাউকে কাছে টেনে নেওয়ার মানসিকতা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাসহ নানা গুণ রয়েছে টিটুর। এ কারণে শুধু রাজনৈতিক সহকর্মীরাই নন, টিটুর প্রচারে নেমেছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী উদ্যোক্তা এবং সংগঠকসহ সব শ্রেণির মানুষ। এতে একদিকে তার প্রচার যেমন তুঙ্গে উঠেছে তেমনই সাধারণ ভোটারদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে ঘড়ি প্রতীকে গণজোয়ার।
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সিংহভাগ নেতাকর্মী সাবেক মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটুর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির ২১ নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের চার নেতা, মহানগর আওয়ামী লীগের চার সহ-সভাপতিসহ ২৬ নেতা ও উপদেষ্টা পরিষদের ১১ নেতা কাজ করছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগের একাংশ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, বিভিন্ন কলেজ-বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগও মাঠে কাজ করছে। এ ছাড়া সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তারাও নেমেছেন টিটুর প্রচারে। তারা নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে রাত অবধি একযোগে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, বিগত সময়ের পরিকল্পিত কাজের জন্য অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে আছেন টিটু। অন্য প্রার্থীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিটুর কাছাকাছিও যেতে পারবেন না। প্রতিটি ওয়ার্ডে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কাজ করায় টিটুর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সমাজকর্মী আলী ইউসুফ বলেন, ইকরামুল হক টিটুর জনসম্পৃক্ততা অনেক ভালো, যা অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে লক্ষ করা যায় না। সাধারণ মানুষ চায় যে রাজনীতিবিদরা তাদের কাছাকাছি থাকুক কিংবা তাদের কাছে যেন নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে যাওয়া যায়। ইকরামুল হক টিটুর মধ্যে এই গুণাবলি বিদ্যমান।
ভোটের মাঠে ফুরফুরা টিটু:
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি মোহিত উর রহমানের শান্তর পক্ষে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজ করা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমপি শান্তর কর্মীরা টজুর পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। কিন্তু এই সমর্থনও টিটুর ভোট ব্যাংকে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।