লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মামার কোদালের আঘাতে আহত ভাগিনা হাফিজুর রহমানের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার দুপুরে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমণীগঞ্জ এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হন। মৃত হাফিজার রহমান ওই গ্রামের মৃত আপতার উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমণীগঞ্জ গ্রামের আহাদুলের সঙ্গে তারই আপন ভাগিনা হাফিজার রহমানের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার তারই জেরে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে মামা আহাদুলের কোদালের আঘাতে ভাগিনা হাফিজুরসহ উভয় পক্ষে ছয়জন আহত হন। পরে আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ভাগিনা হাফিজুর রহমানসহ তার পক্ষের আহত চারজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে ভাগিনা হাফিজুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ভাগিনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মামার পক্ষে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি থাকা শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও শৌখিন ইসলাম (১৮) নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা।
ফকিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, এই ২ শতক জমি নিয়ে আমি নিজেই কয়েকবার শালিস-বৈঠক করেছি। তারপরও আমি মিংমাংসা করতে পারিনি। দু এক দিনের মধ্যে আইনজীবির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার কথা ছিল। কিন্ত এর মধ্যেই দু:খজনক ঘটনাটি ঘটে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, হাফিজার রহমানকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এমআই