শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস সোহেল রানা(১৯) হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিন ওরফে মিন্টু (২৭), সাইদ মাসুম ওরফে বাবু (২২) ও নাজবুল হককে(২০) রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার রাত সাড়ে তিনটার সময় রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. মোমিন ওরফে মিন্টু ও মো. সাইদ মাসুম ওরফে বাবু রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়ার মো. সেনাউল হকের ছেলে মো. নাজবুল হক একই উপজেলার উত্তর কানাপাড়ার কালাম মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আমতলা খাসমহল গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা প্রায় ৪ বছর আগে তার পরিবারের সাথে রাগ করে অবৈধ পথে ভারত চলে যায় এবং সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করে আসতেছে। অবৈধভাবে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে সোহেল রানা তার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ রাখে নাই।
এ অবস্থায়, গত ১৮ অক্টোবর সে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানায় যে, সে ভারত হতে বাংলাদেশে আসবে। কিন্তু গত ২১ অক্টোবর সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল হতে সোহেল রানার গ্রামের জনৈক বাবুর মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, সোহেল রানার রক্তাক্ত মৃতদেহ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের হাতিটিলা পাহাড়ে পড়ে আছে। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করায়। নিহত সোহেল রানার চাচা টুটুলসহ স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে এবং নালিতাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরে ১৮ নভেম্বর রাত সাড়ে তিনটার সময় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ও র্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর কানাপাড়া এলাকা থেকে মো. মোমিন ওরফে মিন্টু, মো. সাইদ মাসুম ওরফে বাবু ও মো. নাজবুল হককে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৪ জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নালিতাবাড়ী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেকে/এজে