সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে মানবন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে দ্বীপের বাসিন্দারা। এসময় দ্বীপের বাসিন্দারা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের আব্দুল মালেক জানান, আমাদের সেন্টমার্টিনবাসীর একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম হচ্ছে পর্যটক। এই পর্যটক আসা বন্ধ করায় আমরা দ্বীপবাসী অনেকটা অসহায়ভাবে দিন যাপন করছি। আমাদের পেটে ভাত নেই। আমাদের আয় রোজগার না থাকার কারণে এলাকার অনেক মানুষ চুরি ছিনতাই শুরু করে দিয়েছে। আশা করছি সরকার আমাদের দাবি মেনে নিবে।
পর্যটক ব্যবসায়ী হোসাইন আহমদ বাহাদুর জানান, আমরা সরকারের বিরোধী নই। সেন্টমার্টিন পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করার কারণে কক্সবাজারে পর্যটক কমে যেতে শুরু করেছে। কক্সবাজারে অনেক পর্যটক আসে সেন্টমার্টিন ভ্রমনে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেন্টামর্টিন বন্ধ থাকার কারণে তারা হতাশ হচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আলোচনার শেষে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ৫ ঘণ্টা পর বিকাল ৪ টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
কেকে/এজে