ভিন্ন দুই মঞ্চে আজ একক কনসার্ট করতে যাচ্ছে সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান ও গানের দল জলের গান।
সন্ধ্যা ৬টায় ‘গানে গানে সায়ান’ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। সায়ানের এই একক কনসার্টের আয়োজন করছে আজব কারখানা। অন্যদিকে একই সময়ে কারওয়ান বাজারের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের অ্যাটেনশন নেটওয়ার্ক অডিটোরিয়ামে চলবে ‘মনের আনন্দে জলের গান’-এর আয়োজন। নূর ইভেন্টস আয়োজিত এ কনসার্টের মধ্য দিয়ে আবারও জলের গানের সঙ্গে মঞ্চে উঠবেন শিল্পী কনক আদিত্য। শোনাবেন শ্রোতাদের প্রিয় গানগুলো। ‘গানে গানে সায়ান’ ও ‘মনের আনন্দে জলের গান’ দুটি কনসার্টেরই ব্যাপ্তি দুই ঘণ্টা। নির্দিষ্ট মূল্যের টিকিট কেটে দর্শক এ আয়োজন দুটি উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অনেক দিন পর একক কনসার্ট নিয়ে শিল্পী সায়ান বলেন, ‘শ্রোতাই আমার শক্তি, সৃষ্টির অনুপ্রেরণা; তাদের জন্যই আজ আবারও মঞ্চে উঠব। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক কিছুই ঘটে গেল। সেই সময়ের দুঃখ, বেদনা আর নতুন দিনের আকাঙ্ক্ষাকে গানে গানে তুলে ধরার প্রয়াসেই আজকের পরিবেশনা।’ আয়োজক প্রতিষ্ঠান আজব কারখানার সিইও জয় শাহরিয়ার কথায়, ‘সায়ান নিজের মতো নিভৃতে সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন। যে কারণে তাঁর গানের অগণিত অনুরাগী থাকলেও একক কনসার্টে খুব একটা দেখা যায় না। তাই যেসব দর্শক-শ্রোতা এ শিল্পীর পরিবেশনা দেখতে উন্মুখ, তাদের কথা ভেবেই ‘গানে গানে সায়ান’ কনসার্টের পরিকল্পনা। আশা করছি, এ আয়োজন অনেকের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’
‘মনের আনন্দে জলের গান’ নিয়ে কণ্ঠশিল্পী কনক আদিত্য বলেন, ‘অনেক দিন ঘটা করে শো করা হয়ে উঠছে না। সে হিসেবে এ একক কনসার্ট আমাদের জন্য কিছুটা বাড়তি আনন্দের বলা যায়। দুই ঘণ্টার আয়োজন বলেই চেষ্টা থাকবে প্রিয় গানগুলো শুনিয়ে দর্শক-শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করার। সে কারণেই কনসার্টের জন্য ‘এমন যদি হতো’, ‘বকুল ফুল’, ‘পাতার গান’, ‘দূরে থাকা মেঘ’, ‘গীতল চিঠি’, ‘পাখির গান’, ‘ফুলকুমারীর বিয়ে’, ‘রসিক যে জন’, ‘ডানা ভাঙা পাখির গান’-সহ শ্রোতারা বারবার শুনতে চান, এমন আরও কিছু গান আমাদের তিনটি অ্যালবামের বাছাই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ আয়োজনে দর্শক-শ্রোতার মনে নাড়া দেবে বলেই আশা করছি।’ কনক আদিত্যের পাশাপাশি ‘মনের আনন্দে জলের গান’-এর সফল সমাপ্তি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পী রাহুল আনন্দ।
তাঁর কথায়, আমরা যারা জলের গানের সদস্য, তারা সত্যিকার অর্থেই মনের আনন্দে গান করি। গানের মাধ্যমেই শ্রোতাদের সঙ্গে আমাদের মনের সংযোগ। তাই গানটি শুনিয়ে আমরা যেমন আনন্দ পাই, তেমনি দর্শক-শ্রোতাকে আনন্দে মাতিয়ে রাখতে চাই। গান যেহেতু আত্মার খোরাক, সেহেতু গানের মধ্য দিয়ে শ্রোতার তৃষ্ণা মেটানোই আমাদের লক্ষ্য।’
কেকে/এমআই