সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে গত তিন দিনের ব্যবধানে ৩২৮৪ মেট্রিকটন চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ। খাদ্য মন্ত্রানালয় কতৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত চাল আমদানিকারকরা ভোমরা বন্দর দিয়ে কয়েক দফায় ভারত থেকে আমদানি করছে হাজার হাজার মেট্রিকটন চাল।
অনুমোদনপ্রপ্তদের মধ্যে ঢাকার পুরানো পল্টন মজুমদার এগ্রোটেক ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৯ নভেম্বর ৪৩০ মেটিট্র টন এবং ২১ নভেম্বর ৮৭৮ মেট্রিক টনসহ মোট ১৩০৮ মেটিট্র টন চাল আমদানি করে।
এছাড়া, যশোরের ঝিকরগাছা ইসমাইল হোসেন মিলন আমদানিকারক ২০ নভেম্বর ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। সাতক্ষীরার কলারোয়া মুকুল এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠান ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে। যশোরের মজুমদার এন্ড সন্স প্রতিষ্ঠান ১৯ নভেম্বর ২৬৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে। যশোরের বেনাপোল এসএমএম ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকারক ২০০ মেট্রকটন এবং যশোরের মজুমদার ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড ২০ নভেম্বর ৪৬৩ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে। এছাড়া যশোরের রেজাউল অ্যান্ড সন্স আমদানিকারক ২০ নভেম্বর ৭৫ মেট্রিক টন এবং ২১ নভেম্বর ১৭৪ মেট্রিক টন চাল আমদানি করে।
দেশের শীর্ষ ৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শুল্কমুক্ত কোটায় ৩দিনে ভারত থেকে ৩২৮৫ মেট্রিকটন চাল আমদানি করে ভোমরা স্থল বন্দর ব্যবহার করে।
সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার চালের উপর থেকে শুল্কমুক্ত করায় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করছেন।
সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, দেশের খাদ্যনীতি সুরক্ষা করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ব্যাবসায়িরা চাইলে ভোমরা বন্দরকে নিরাপদ সুরক্ষিত হিসেবে ব্যাবহার করতে পারবে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যাবসায়িদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।
কেকে/এমএস