প্রকাশ: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৩:৫৩ পিএম (ভিজিটর : ৭৮)
ছবি: প্রতিনিধি, ওয়ানগালা উৎসব
গারোদের বিশ্বাস ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। এই শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি সব পরিবারের ভালবাসা, আনন্দ এবং মঙ্গল কামনা করে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব পালন করেছে গারো সম্প্রদায়। ওয়ানগালা উৎসবে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা গারো সম্প্রদায়ের লোকজন এবং তাদের আত্মীয়রা একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় মিলনমেলায় পরিনত হয়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মরিয়মনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি।
উৎসবের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত ফসল দেবতা মিসি আর সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে। প্রতি বছর শীতের শুরুতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য খৃষ্টভক্ত ওয়ানগালা উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
উৎসব আয়োজক কমিটি জানায়, এক সময় গারো পাহাড় এলাকায় জুম চাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে উঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো। কারণ হিসেবে জানা গেছে, গারোদের ওই শস্য দেবতা এক সময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিল- তোমরা এটা রোপন কর, তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে। এরপর থেকেই গারোরা তাদের শস্য দেবতাকে এই ফসল উৎসর্গ করে আসছে।
আজকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লীর নিয়ন্ত্রণে জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নালিতবাড়ী এবং পাশ্ববর্তী জামালাপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো সমাজের নারী পুরুষ এই ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে সমাগত হন।
কেকে/এমএস