নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জেলা জজ কোট আদালতের সামনের সড়কে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হোসেন মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মাস্টার, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, নিহত আবদুল মতিন তোতার ছেলে চরএলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল তোতা।
বক্তারা বলেন, আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যান দুর্দিন দুঃসময়ে চরএলাহী ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রাখেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী ফ্যাসিবাদের দোসররা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৩ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। একজন আসামিকে নিহতের স্বজনেরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এখন পর্যন্ত পুলিশ এই মামলার একজন আসামিকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে বাঁচাতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। মামলার ১৭ জন আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো আসামিদের ইন্ধনে তোতার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চারদিন পর গত ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কেকে/এজে