বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১২ সদস্যের রংপুর মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্থান পেয়েছেন। এই কমিটি প্লাটফর্মের রংপুর মহানগরের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে মূলত এ কমিটি। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
সোমবার দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইউল্যাব শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমতিকে আহ্বায়ক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: রহমত আলীকে সদস্য সচিব করে ৬ মাস মেয়াদি রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে মূখ্য সংগঠক কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আলী মিলন, রংপুর ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির নাহিদ হাসান খন্দকারকে মূখপাত্র করা হয়।
রংপুর মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক কারমাইকেল কলেজের সাজ্জাদ হোসেন, বেরোবির আরিয়ান আফ্রিদি রাজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জামিল হোসেন, পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মোতাওয়াক্কিল বিল্লাহ ফকিরসহ আরও ৪ জন৷
মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল বুটেক্সের আসির সাদিক রাফি, সরকারি তিতুমীর কলেজ এর মুহম্মদ রাজিমুজ্জামান হৃদয়, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ফারহান তানভীর ফাহিম, বেরোবির হাজিম উল হক, আরসিসিআই এর সিয়াম আহসান আয়ান সহ আরও ৪ জন।
সংগঠক হিসেবে রয়েছেন এআইইউবি শিক্ষার্থী মো: জুবায়ের আহমেদ হিমন, কবি নজরুল কলেজের মাহমুদ হাসান মুহিব, ধামরাই কলেজের এ কে এম আহনাফ হোসেনসহ আরও ৮ জন। এছাড়াও এই কমিটিতে সদস্য পদে জন রয়েছেন ৮০ জন৷
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক আআলাপচারিতায় সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি জানান, অবহেলিত রংপুর কে এগিয়ে নিতে নগরবাসীর দোয়া এবং সাপোর্ট আমাদের কাম্য। আমাদের কমিটির সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা আপাতত প্রধান ফোকাসে রাখছি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ, রংপুরের শ্যামাসুন্দরী খাল এবং রংপুর উন্নয়ন কতৃপক্ষ গঠন করার বিষগুলো। পাশাপাশি সবার পরামর্শ প্রয়োজন।
উলেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কেকে/এইচএস