প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৬ পিএম (ভিজিটর : ১৭৬)
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহনেওয়াজ ওরফে কাল্লু (৩৮) মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি জেনেভা ক্যাম্পের ৮ নম্বর ব্লকে থাকতেন ও নারায়ণগঞ্জে একটি চাপের দোকানে কাজ করতেন।
জেনেভা ক্যাম্পের সামির নামে একজন বলেন, ক্যাম্পে প্রায়ই মাদক ব্যবসা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি এবং হত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। বুধবার রাতে জেনেভা ক্যাম্পে আবারও মাদকের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি শুরু করে শীর্ষ মাদক কারবারী ভূঁইয়া সোহেল গ্রুপ ও পারমনু গ্রুপ। ভূঁইয়া সোহেল গ্রুপের গুলিতে শাহ নেওয়াজ কাল্লু নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ভূঁইয়া সোহেল বর্তমানে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারী। সোহেল, তার ভাই রানা ও টুনটুনের হাতে নিয়ন্ত্রিত হয় পুরো ক্যাম্প এলাকার হেরোইন কারবার৷ তাদের বিরুদ্ধে অর্ধ শতাধিক মামলা থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান তারা।
তিনি বলেন, শাহ নেওয়াজ কাল্লু জেনেভা ক্যাম্পের আরেক মাদক কারবারী লালনের বড় ভাই। লালন জেনেভা ক্যাম্পের মাঝারি পর্যায়ের একজন মাদক কারবারী। তার নামেও রয়েছে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা। তিনি আরেক মাদক কারবারী পারমনুর বিশ্বস্ত সহযোগী।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, গোলাগুলিতে জেনেভা ক্যাম্পে কাল্লু নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে প্রাথমিক ভাবে তিনি সেটা বলতে পারেননি।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমি র্যাব এবং পুলিশ পাঠিয়েছি জেনেভা ক্যাম্পে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। আপনারা জানেন এই ক্যাম্পের ভিতরে নানা ধরনের অপকর্ম হয়। কিছুদিন আগেও আমরা সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযান করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে উদ্যোগ না নিলে এ রকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সামাজিক ভাবে তাদেরকে পুনর্বাসন করা দরকার। আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার। আমরা এ যাবৎকালের মধ্যে এখানে সবচেয়ে বড় যৌথ অভিযান করেছি।
গত ০৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার অস্ত্রাগার লুট করে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারীরা। সে অস্ত্র হাতে ওইদিন থেকেই মাদক নিয়ে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। ০৬ আগস্ট গুলিতে নিহত হয় একজন। সেপ্টেম্বরে প্রাণ যায় আরও দু'জনের।