‘কাঁশা, বেগুন ও গুড় এই তিনে মিলে ইসলামপুর’ এই ঐতিহ্যবাহী প্রবাদ খ্যাত জামালপুরেরর ইসলামপুরে আখ বা আখের রসের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান মুড়ির টিনে গুড় আমদানী করে কড়াইয়ে জাল করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় তৈরী হচ্ছে ভেজাল গুড়।
এছাড়াও গুড় তৈরিতে মেশানো হয় সুগার মিলের নালী, ময়দা, ইন্ডিয়ান চিনি এবং ডাল্ডা। এভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে কেউ দলীয় প্রভাব আবার কেউ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আখের পরিবর্তে বিশেষ কায়দায় অস্বাস্থ্যকর ভেজাল গুড় তৈরি করছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর পৌর শহরের বোয়ালমারী গ্রামে গোলাপ আমির আলী ওরফে পেজু, শামিম মির্জা ও আনারুল ওরফে আনোয়ার ভেজাল গুড় তৈরির ব্যবসা করে আসছে। প্রশাসন রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভেজাল গুড়ের জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছে তারা। তৈরি হচ্ছে নতুন গুড় কারখানার।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, পঁচা নালির ট্যাং পড়ে রয়েছে কারখানায়। কারখানায় নোংরা পরিবেশে খালি গায়ে হাতে মুঠোয় গুড় পাকাচ্ছে শ্রমিকরা, শরীরের ঘাম পড়ছে এবং মাছি ভন ভন করছে গুড়ে। আখের রসের পরিবর্তে বিশেষ উপায়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়।
গুড় ব্যাবসী গোলাপ জানান, আমরা ইন্ডিয়ান গুড় এনে জাল করে গুড়ের কেজি মুঠো তৈরি করি। গত তিন মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের এক অফিসার এসে আমাদের তৈরী গুড় পরীক্ষা করার জন্য নিয়েছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি।
আরেক কারখানা মালিক আনারুল জানায়, এই গুড় তৈরির জন্য তাদের লাইসেন্স রয়েছে, ইন্ডিয়ান টিন ভর্তি গুড় এনে প্রক্রিয়া করে একশত টাকা কেজি বিক্রি করলে কেজিতে ১০/২০ টাকা লাভ করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানকার ভেজাল উপায়ে তৈরি গুড় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। তাই এই এলাকার কোনটি আখের তৈরী গুড় কোনটি ভেজাল কারখানার ইন্ডিয়ান গুড় ভোক্তাদের চেনার উপায় নেই।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কমল কুমার পাল জানান, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এমএস